ফয়সল গার্মেন্টস

ফয়সল গার্মেন্টস রাজশাহীর প্রতিষ্ঠিত রেডিমেড ড্রেস তৈরী বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আরিফ আল মাসুদ ফারুকী। যার জীবনের সাথে জড়িত আজকের এই প্রতিষ্ঠান। জীবনের বহু উত্থান পতন পার করে তিনি ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে গড়ে তুলেছেন আজকের এই সফল ফয়সল গার্মেন্টস। যা তার জীবনী থেকে পাওয়া যায়।  ফয়সল গার্মেন্টস রাজশাহী ও রাজশাহীর বাইরে ছোট বড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম সফলতার সাথে তৈরী ও সরবরাহ করে আসছে। রাজশাহী শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের আস্থার নাম এখন ফয়সল গার্মেন্টস।

foysolgarments.com ফয়সল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন স্টোর যেখানে খুব সহজেই রেডিমেড ড্রেস ও কাস্টোমাইজ ড্রেস অর্ডার করা যায়। ফয়সল গার্মেন্টস সকল ছোট বড়, সরকারি, বেসরকারি, ইস্কুল ও  কলেজ এর রেডিমেড ড্রেস ও কাস্টোমাইজ ড্রেস তৈরী করে থাকে।

Institutions
+ 0
Products
+ 0
Agent Branch
0

প্রধান কারখানা ও বিক্রয় কেন্দ্র

ফয়সল গার্মেন্টস & টেইলার্স

প্রো: আরিফ আল মাসুদ ফারুকী
কোর্ট স্টেশন, সিটি বাইপাস মোড়, রাজশাহী
মোবা: ০১৮২০৮০৯৬৯৬

আমাদের এজেন্ট শাখা

ফয়সল গার্মেন্টস & টেইলার্স

গাবতলা, চাপাইনবাবগঞ্জ
মোবা: ০১৭৭২০৪৪১৮৮

স্কুল এন্ড কলেজ ড্রেস সেন্টার

গাবতলা, চাপাইনবাবগঞ্জ
মোবা: ০১৭৭২০৪৪১৮৮

ড্রেস সেন্টার

গোদাগাড়ী
মোবা: ০১৭৪২৪৫৬৪৫৫

ড্রেস সেন্টার

নাচোল
মোবা: ০১৭৩৫৯৯৩৩৪৩

ফয়সল গার্মেন্টস

RDA মার্কেট, রাজশাহী
মোবা: ০১৯১১০৬৭০০৮

নিউ ফয়সল গার্মেন্টস

জিন্নাহ নগর, রাজশাহী
মোবা: ০১৭৫৮৩৯০৭৯২

নিউ ফয়সল গার্মেন্টস

নওদাপাড়া, রাজশাহী
মোবা: ০১৭১১৮৭৯০৫৫

নিউ ফয়সল গার্মেন্টস

বিনোদপুর, রাজশাহী
মোবা: ০১৯৬৯৮৩২১০৪

ড্রেস সেন্টার & পাঞ্জাবী কালেকশন

মোহনগঞ্জ
মোবা: ০১৭৯৬৪৪১৭২২

প্রতিষ্ঠাতা আরিফ আল মাসুদ ফারুকী

আসসালামু আলাইকুম , আমি আরিফ আল মাসুদ ফারুকী (৩১/১২/১৯৭৯), ২৯ আষাঢ়, সুবহে সাদিকের সময় মোছাঃ আকতারুণ ওমর আম্মাজানের গর্ভে ডাঃ মোঃ ওমর আলী ফারুকীর ওরসে থেকে জন্ম লাভ করি । পিতা মাতার বর্ণনা অনুযায়ী শিশুকালে এক প্রকার ঠান্ডা প্রকৃতির ছিলাম । বড় হওয়ার সাথে সাথে মেধাবী, বুদ্ধিমান ও চতুরমুখী চিন্তার অধিকারী বলে মানুষের মুখে প্রচলন শুরু হয়। আমার একা একাই কেনো কিছু গড়া ও তৈরী করার মনোভাব প্রকাশ পেতে থাকে। পারিবারিক ভাবে ধর্মীয় অনুশাষন ও পূর্ণ ধর্মীয় সকল কাজে বাবা/মায়ের পক্ষ থেকে চর্চার তাগিদ ও অভ্যাস থাকায় সকল কাজেই ইসলামী মূল বুনিয়াদ কেন্দ্রীক সকল চিন্তা করতাম। ৩য়/৪র্থ শ্রেণীতে পড়া অবস্থাতেই চিন্তা করতাম বড় হয়ে আমার কী কী করতে হবে? তখন চিন্তা করতাম……….


#ছেলে মানুষ হিসেবে অর্থ উপার্জন করতেই হবে। #আমাকে একদিন সংসার জীবনে পদার্পন করতে হবে। #আমাকে একদিন সন্তানের অভিভাবক হতে হবে। আমাকে দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। #সর্বোপরি পরকালে আল্লাহর কাছে হাশরের ময়দানে হিসাব নিয়ে দাড়ানোর জন্য মাল/ সামান সহ হাজির হতে হবে। তাই তো আজকের দিনের পূর্বে যা যা ঘটেছে তারই সংক্ষিপ্ত বিবরণ স্মৃতির পাতায় টুকে নিলাম ।

যখন বয়স ১০/১২ বছর সে সময় পড়ালেখা করি রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী স্কুল মসজিদ মিশন একাডেমী (বড়কুঠি)। তখন পড়ালেখার পাশাপশি বাসার অজান্তেই নিজ খরচ এবং গরীব বাচ্চাদের সহযোগিতার কথা মাথায় নিয়েই স্কুল/কলেজের পরীক্ষার ব্যবহৃত পুরোনো খাতা গুলো প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ক্রয় করে বাজারে নিয়ে বিক্রয় ও ঠোঙ্গা/ঠোস বানিয়ে দোকানদার দের মাঝে বিক্রয় করে বিভিন্ন মহল্লায় অসহায়দের সহযোগিতায় তাদের ব্যবসা করার মনোবল তৈরি করতে শুরু করি ও নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য দোয়া চাওয়া শুরু করি। পারিবারিক খুব স্বচ্ছলতা না থাকার কারণেই পড়ালেখার পাশাপাশি ৮ম/৯ম শ্রেণীতে থাকা অবস্থাতেই ছাত্র পড়ানো অর্থাৎ প্রাইভেট পড়ানো শুরু করি। ৩০ দিন পড়িয়ে ২৫/৩০ টাকা বেতন দিত এবং এভাবে ৫০/৬০ টি ছাত্র/ছাত্রী পড়িয়ে নিজের পড়া পড়তাম ও বড় হয়ে একজন সফল ব্যবসায়ী হবো এবং আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতি কাপড়ের ব্যবসা করবো এই নিয়তে ১৯৯২ সালে রাজশাহীর আর.ডি.এ মার্কেটের সামনে একটি দোকানঘর এর বারান্দা ১৫ দিনের জন্য রমজান মাসের শেষ ১৫ দিনে ১৫০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে অন্য দোকান থেকে প্রতিদিন মাল বিক্রয় করে মূল টাকা তাকে প্রদান করে ও লাভের টাকা আমার, এই মর্মে টুপি, তসবি, পান্জাবি ও পায়জামার দোকান দেই। চাঁদ রাত পর্যন্ত ১৫ দিনে সকল খরচ বাদ দিয়ে সেই সময় ১৮,০০০ টাকা লাভ করি এবং সেই টাকা দিয়েই আমাদের কাঁচা বাড়ি আধা পাকা বাড়িতে পরিণত হয়।


যাই হোক শুরুর কিছু কথা বলে দেই, ৭(সাত) ভাই বোনের ৫তম সদস্য আমি। ৪ (চার) বোন ৩ (তিন) ভাই । এ সময় বড় বোনের বিয়ে হয় আমাদেরই একমাত্র ফুপুর বড় ছেলের সাথে। তিনি তখন ঢাকা বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ১ম স্থান অধিকার করে বের হলেন এবং তিনি অত্যাধিক মেধাবী হওয়ায় দোভাষির কাজ করে ছাত্র অবস্থাতেই বেশ অর্থ উপার্জন করে ছিলেন। উনিই আমার ব্যবসার ইচ্ছা, আগ্রহ এবং মনের ভেতর লালিত ইচ্ছার সঙ্গী হয়ে পাশে দাড়ান। কিন্তু আমার প্রয়াত শিক্ষাবিদ ও বর্তমান ৫/৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত ১টি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আমার আব্বাজান বাধা হয়ে দাড়ালেন । তার আদেশ এই বয়সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করলে আমার গ্রাজুয়েশন কোন দিন হবে না। আমি নন এডুকেশন মানুষ হিসেবে সমাজে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবো। ঠিক তখনি আমি আমার আব্বাজান ও আমার বড় দুলাভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম যিনি আজ বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার চিফ ইন্জিনিয়ার এর দায়িত্ব পালন করছে। তাদের সামনে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে কথা দিলাম আমি আপনাদেরকে S.S.C ও H.S.C তে ১ম ডিভিশন রেজাল্ট এনে দিবো। ঠিক আল্লাহ তার রহমতের মাধ্যমে S.S.C ও H.S.C তে ১ম স্থান ও M.A. তে ভালো মানসম্মত রেজাল্ট দান করেছেন এবং মসজিদ মিশন একাডেমী থেকে ১৯৯৪ সালে ২ বছর বিলম্বে পরীক্ষা দিয়ে ১ম ডিভিশন অর্জন করি এবং আর.ডি.এ মার্কেটে একটি দোকান বড় দুলাভাইয়ের পূর্ণ সহযোগিতায় ভাড়া ও মালামাল উঠিয়ে ব্যবসা শুরু করি । তার পাশাপাশি রাডার কোচিং সেন্টারে কোচিং করে এবং আদর্শ কোচিং সেন্টার (মহিষবাথান) পরিচালনা করে রাজশাহী সরকারি কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হই। সে সময় নাকি রাজশাহী কলেজে ভর্তি হওয়া মানে একটি সোনার হরিণ অর্জন করার সমান। আল্লাহ তাতেও আমাকে সেই সম্মানও দান করেন। সেখানেও ব্যবসা পরিচালনা, কোচিং সেন্টার চালিয়ে ১ম ডিভিশেনে পাশের মর্যাদা আল্লাহ দান করেন। এর পরেই আর.ডি.এ মার্কেট এর ১১৯ নং দোকানের মেয়াদ শেষ। M.A ভর্তি হলাম। কারখানা করে দুইজন কাটিং মাষ্টার নিয়ে রাজশাহী বিভাগের সব জেলায় কাজুয়াল শার্ট তৈরী করে পাইকারি বিক্রয় শুরু করি। এই ব্যবসাতে বহু টাকা বাকি পড়ে যাওয়ায় এই ব্যবসা বন্ধ করে মুরগীর খামার করি, এখানেও সফলতা ধরা না দেওয়ায় ব্যবসায় বহু ক্ষতি শিকার ও তকদির মেনে নিয়ে শুষ্ঠ রুজির অন্মেষনে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকি। এরই মাঝে ২০০৪ সালে বাবা/মায়ের ইচ্ছাতে বিয়ের মাধ্যমে তারা সংসার নামক গাড়িটি আমার কাধের উপর চড়িয়ে দেয়।


ছোটতেই ১০/১২ বছর বয়সে আল্লাহকে বলতাম
#আল্লাহ তুমি আমায় কাপড়ের ব্যবসায়িক হওয়ার তৌফিক দিয়ো এবং সেখানে যেন ৫/৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় এর ব্যবস্থা করতে পারি তার জন্য তুমি আমার সাহায্যকারী হিসেবে সব সময় পাশে থেকো।
#বড় হয়ে যখন সংসার করতে হবে তখন যাকে নিয়ে তুমি আমার সারা জীবনের সঙ্গি বানাবে সে যেন একজন মোমেনা, নেককার, সুন্দরী বাবা হারা এতিম রমনী হয়। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাও কবুল করেছেন।
#এরপর আমি যখন সন্তানের অভিভাবক হবো সেই সন্তান গুলো যেন ১ম, ২য়, ৩য় কন্যা সন্তান হয়। আল্লাহ ১ম, ২য় কন্যা সন্তান ও ৩য় ছেলে সন্তান দিলেন। আর যেদিন ছেলে সন্তান কে কোলে নিয়ে মাওলার কাছে দোয়া করলাম ৩য় কন্যা যখন দিলেনা তাহলে এই পুত্রকে তুমি তোমার কাবা ঘরের ইমাম ও তোমার কোরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করো। এই দোয়া করেই তার দুই কানে আজান ও ইকামত দিই।
সকলের কাছে দোয়া চাই সেই ছেলে ওমর রাইয়ান ফারুকী আজ কোরআনের হাফেজ হয়েছে এবং তেলাওয়াত ও আজানে বর্তমানে সে বাংলাদেশ সেরা চ্যাম্পিয়ন পুরুষ্কার অর্জন করেছে। রাইয়ান ঢাকা যাত্রাবাড়ি তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করছে এবং তার বর্তমান বয়স বর্তমানে ১৩ বছর। এর পরই আমার সংসার সঙ্গী অসুস্থ হওয়া সত্বেও ৩য় কন্যা সন্তান আল্লাহর রহমতে আমাদের কোলে পৌছালো। আর তাই আল্লাহ আমার ৩য় কন্যার আশাও পূরণ করলেন , আলহামদুলিল্লাহ ।


এরপর আল্লাহর কাছে চাওয়া ছিলো আমার শেষ জীবনের যে আবাস স্থলটি নির্মানের জন্য যে জায়গা তুমি কেনাবে সেটি যেন মসজিদের পাশে হয় আল্লাহ তাও কবুল করেছেন। এবং এও চাওয়া ছিলো আমার উপার্জিত টাকার ১ম ক্রয়ক্রিত জমিতে যেন আল্লাহর ঘর মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা করতে পারি। আল্লাহর রহমতে আল্লাহ সেটিও করার তৌফিক দিয়েছেন।
যাই হোক বিয়ে করার পরপর সব কিছুতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে কি করা যায় . কি করা যায় এই চিন্তার প্রতিফলন। আল্লাহর পক্ষ থেকে পবিত্র চিন্তা এলো স্কুল/কলেজ ড্রেস এর রেডিমেড ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করার চিন্তাটি মাথায় ভর করলো এবং আমার অর্থনৈতিক বিপর্যয় হওয়ায় ইংরেজী প্রভাষক মোঃ সাইফুল ভাইয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে স্কুল/কলেজ ড্রেস এর কাপড় ক্রয় করে এনে রেডিমেড ড্রেস তৈরী করা শুরু করি এবং প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে ভিজিটিং কার্ড বিতরন করা শুরু করি। এভাবেই যাত্রা শুরু ড্রেস ব্যবসার। এরই মাঝে কতশত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা মহামারি মোকাবিলা করে আপনাদের সন্তানদের ড্রেস যাতে আরো দ্রুত ও সহজেই বাসায় বসে ক্রয় করতে পারেন সেই প্রত্যয় ও প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের আগামীর পথচলার সাথি হয়ে ফয়সল গার্মেন্টস পথ চলতে চায় ও সহযোগিতা পেতে চায়। ধন্যবাদ সবাইকে ।


আসসলামু আলাইকুম।